OUR ADDRESS
Kolkata
Shyama Charan Dey St,
College Street, Kolkata,
West Bengal 700073
College Street, Kolkata,
West Bengal 700073
Email: hello@matribhasa.com
Phone: +91 9658986525
CONTACT US
Got a question or need a hand with anything on our website? Just reach out to our friendly support team!
Pradipta Roy Chowdhury Sen (verified owner) –
আজ যে বইটার কথা বলব তার রিভিউ করার বা পাঠ- প্রতিক্রিয়া দেওয়ার স্পর্ধা আমার নেই। নেই তার কারণ লেখক একজন বিখ্যাত ব্যক্তি বা তাঁর বিরাট ফ্যান বেস আছে এমন নয়। স্পর্ধা করে উঠতে পারছি না কারণ এই বইটা আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে। ডার্ক জঁর আমার অপছন্দের। তবুও এই বইটা নিয়ে ছিলাম সপ্তর্ষিদার চাপে পড়ে। আপশোস নেই।
ছ’টা গল্প আছে এই বইতে। গল্পগুলি নাকি “মানুষের মনের কোণে লুকিয়ে থাকা আদিম বিষণ্ণতা”কে নিয়ে। হবেও বা। তবে এ কথা সত্যি যে গল্পগুলো পাঠকের মনে একটা বিষণ্নতার রেশ ছেড়ে যায়। আগুনপাখি যেন hiraeth মনে করায়। জীবনদাতা, দাগ বা নিষাদ সব ছাপিয়ে হয় ওঠে মা আর সন্তানের গল্প। থমকে দাঁড় করায়। ভাবায়। কাঁদায়। কখনও সে কান্না মা- হারা একা এক ছেলের জন্য, কখনও বা এক সর্বহারা মায়ের জন্য আবার কখনও এক আপনভোলা দৈত্যের জন্য। ও যখন ডাকে বা ঝিমলির সবুজ চোখ লেখার গুণে ক্লিশে থেকে অসাধারণ হয়েছে।
এই গল্পগুলো শেখায় যে এভাবেও ভাবা যায়। গল্পের সাথে মানানসই অলঙ্করণগুলি, বিশেষ করে দাগের অলঙ্করণটি, এই বইয়ের একটি বড় পাওনা।
Shreya Roy (verified owner) –
আমি চট করে খুব একটা রিভিউ লিখি না।
মানে, আমি রিভিউ লিখে থাকি কিন্তু সেটা আমার ডায়েরিতে। অনেক সময় ছোট ছোট পোস্ট ইট কাগজ দিয়ে বইয়ের উপর নোট করে রাখি।
কয়েকদিন আগেই আমি ফেসবুকে এর প্রথম গল্প আগুন পাখির কিছুটা অংশ নিয়ে রিভিউ করেছিলাম।
সেইখানে তুমুল বিতর্ক হয়ে দাঁড়ালো কমেন্ট সেকশনটা । বেশিরভাগ লোক যারা পড়েছেন তারা সাজেস্ট করলেন গোটা বইটা শেষ করতে।
প্রথম গল্পটা পড়ার পর অনেকদিন পর আবার বইটা হাতে ধরলাম। তারপর পরে গল্প “দাগ” এমন ভাবে দাগ কেটে দিল মনে যে বইটা না শেষ করে থাকতে পারলাম না।
এখানে আছে ছয়টা গল্প।
১. আগুন পাখি
২. দাগ
৩. ঝিমলির সবুজ চোখ
৪. ও যখন ডাকে
৫. জীবন দাতা
৬. নিষাদ
প্রথম গল্পের নাম আগুন পাখি । গল্পে সত্যিই প্রচন্ড পরিমাণ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা লেখকের পরিবেশ ভিত্তিক কারণবশত যুক্তিসংযত মনে হলেও আমার মনে হয় ওটা এভয়েড করলেই ভাল হত। তাছাড়া গল্পটা বড় অদ্ভুত। মিনিংফুল বলতে পারেন কিন্তু আমার মাই নেম ইজ খানের জাতীয় সিনেমা খুব একটা পছন্দ হয় না। তাই এই গল্পটা রেটিং দেবো ২/৫
। আপনি যদি অতিমাত্রায় অশ্লীলতার প্রতি সহনশীলতা রাখেন তাহলে এই গল্পটা পড়বেন।
এর পরের গল্পের নাম দাগ। যদিও ভাই এই শুরুটা প্রচন্ডভাবে সেই একই ঘর আনার মধ্যে দিয়ে শুরু হলেও এই গল্পে মোচড় আছে পাঁচ খান। তাই প্রথম আগুন পাখি পড়ে আপনার ভেতরে আগুন জ্বলে উঠলেও এই গল্পটা পড়ার পর সে আগুন নিভে যেতে বাধ্য। অন্তত কিছুক্ষণ হা করে থাকবেন। বইটার নাম যে কেন অন্ধকারের গল্প আপনার আশেপাশটা অন্ধকার হয়ে ওঠে তা জানাবে।
আমি এরকম গল্প বাংলা সাহিত্যেই পড়ি নি। তবে সত্যি কথা বলতে পড়তেও চাইনা।
রেটিং – ৫/৫
এরপরের গল্পর নাম ঝিমলির সবুজ চোখ। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না যে কেন কসাই রেফারেন্সটাকে স্পষ্ট ভাবে লেখা নেই। আপনার ছায়ার যে চোখ থাকতে পারে সেটা আপনাকে আবার ফির নিয়ে যাবে লেখকের ভৌতিক ইউনিভার্স । আবার শেষে এই গল্পের মোচরে একদম শেষ পাতা এসে অনেকক্ষণ হাঁ করে বসে থাকবেন।
রেটিং – ৫/৫
এরপর গল্পের নাম ও যখন ডাকে।
এটা অনুবাদ গল্প।
Enoch – Robert Bloch
অনেকটা সেই বেতালের মত কিন্তু নিশংস। আচমকা একটা অনুবাদ গল্প পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সাইকোলজিক্যাল হরর থ্রিলার বলতে পারেন। কিন্তু এর আগের গল্পটা ও একই পর্যায়ে পড়ে।
রেটিং – ৩.৫/৫
এর পরের গল্পের নাম জীবন দাতা।
শোভন কাপুরিয়ার লেখা ইলুশান সিটি এর মতন ডিস্টোপিয়ান থিমে লেখা। অবাক হলাম দেখে যে অভিকবাবুর হাতে শুদ্ধ সাইন্স ফিকশন ও বেরোয়। আমি এখন ওনার বাকি বই গুলোকে একটার পর একটা পড়ব এবার।
তন্ত্রের হাত যখন সাইন্স ফিকশন কে ছোঁয় তখন সেটা Guilty Pleasure এর পর্যায়ে পৌঁছায়।
শেষে যখন জানবেন যে গল্পের মূল চরিত্র কে তখন আবার চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।
রেটিং – ৫/৫
শেষ গল্পের নাম নিষাদ।
এই গল্প সম্বন্ধে বেশি কিছু বলা গল্পটাকে বিস্বাদ করে তুলবে। মহাভারতের অনেক গল্প যেটা ছোটবেলায় পড়ে অস্বাভাবিক মনে হতো, সেটার বাস্তবিকতা এখানে এসেছে। এমনকি মহাভারত শব্দটা বলাও স্পয়লার হয়ে যাবে।
রেটিং -৫/৫
এক দীর্ঘশ্বাসে শেষ করে নেওয়ার মতো বই। গল্পগুলো শেষ থেকে শুরুর দিকে পড়তে পারেন। না হলে আগুন পাখি পড়ার পর মাথার মধ্যে একটা আগুন লাগার ও সম্ভবনা আছে।