Description
টালিগঞ্জের রুপোলি পরদার হাতছানি খুব ছোটবেলায় আরশির মাকে সংসার থেকে কেড়ে নেয়। এরপর পার হয়ে গিয়েছে ষোলো বছর। এখন আরশি তরুণী। সে জলপাইগুড়ির মেয়ে। আজও সে জানে না তার মা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না। হঠাত্ই একটা অদ্ভুত ফোন আসে। সেই ফোন এলোমেলো করে দেয় আরশির ভাবনাচিন্তা। বিশ্বাস হতে থাকে মা কলকাতাতেই আছে এবং খুব আর্ত-বিপন্ন অবস্থায়। তার সন্দেহ জাগে মা-কে খোঁজার ব্যাপারে বাবার উদ্যোগ আদৌ আন্তরিক ছিল কি না। সে নিজেই তার মাকে খোঁজার সিদ্ধান্ত নেয়। বাবাকে অন্য অজুহাত দেখিয়ে রওনা হয় কলকাতার উদ্দেশে। যেখানে তাকে রিসিভ করবে বন্ধু পূর্বা। যে একসময় আরশিদের জলপাইগুড়ির বাড়িতে পেয়িং গেস্ট ছিল। কলকাতায় পূর্বার বাড়িতে থাকবে স্থির করেছিল আরশি।অনিবার্য কারণে পূর্বার সঙ্গে দেখা হয় না। অজানা-অচেনা কলকাতায় একা হয়ে পড়ে আরশি। আলাপ হয় শৌর্যর সঙ্গে। সে ফটোগ্রাফার। সিনেমার স্টিল ছবিও তোলে। শৌর্যর সাহায্য নিয়ে আরশি খুঁজতে থাকে মা-কে। কতদিন শৌর্য আরশির বেদনা-আনন্দের সঙ্গী হবে? আরশি পাবে কি ‘মা’ নামক আয়নায় নিজের প্রতিফলন দেখতে? যা সে হারিয়ে বসে আছে আশৈশব।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.