অমৃতা মজুমদার (১৯৮৪-২০১৮) -এর জন্ম বর্ধমান জেলাতে হলেও, বেড়ে ওঠা কলকাতার কাছের শহরতলী শেওড়াফুলিতে। প্রথাগত অধ্যয়নে গণিত শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর। তার নাতিদীর্ঘ জীবনের সাথে প্রবল ভালোবাসায় অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িয়ে ছিল সাহিত্য এবং শিল্পকলা। নৃত্য, অঙ্কনশিল্প ও আবৃত্তিতে ছিল তার বিশেষ পারদর্শিতা। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কারিক্রমে সে যেমন নাচ শিখেছিল, তেমনি শিখেছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অঙ্কনশিল্প। আবৃত্তি শিখেছিল বিখ্যাত বাচিক শিল্পী ব্রততী বন্দোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। কলকাতায় অনুষ্ঠিত কয়েকটি ‘সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতা’-য় সাফল্য লাভের সাথে সাথে অমৃতা বেশ কিছু ‘মডেলিং’ এবং বিজ্ঞাপনের কাজও করেছিল।
বিবাহোত্তর জীবনে বিদেশে বসবাস শুরু ২০১০ সাল থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। প্রথমে ইউরোপের আমষ্টারডামে এবং তারপর দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দেশ ব্রুনাইয়ে। অমৃতা ভালোবসত নানা দেশ ঘুরে বেড়াতে, নানা দেশের খাবার আস্বাদনে, সেই দেশের সংস্কৃতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করে নিতে। বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত পদের রান্নায় এবং বিশেষত বেকিং-এ ছিল তার প্রবল উৎসাহ।
এই বইয়ের কবিতাগুলি বিদেশে বসে লেখা – কবিতা কোন কোন সময় যেন অমৃতার ডায়েরী হয়ে উঠেছে। কবিতাতেই উঠে এসে সন্তানের কথা, তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা। অফুরন্ত জীবনিশক্তি নিয়ে অমৃতা জীবনের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিল ওতপ্রোত। আঁকতে শুরু করা ক্যানভাসগুলির কিছু কি আদৌ অসমাপ্ত ছিল? এই বইয়ের অন্তর্গত কবিতাগুলি পড়লে হয়ত কিছুটা আভাস পাওয়া যাবে তার!
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.