🌟📖 এটি একটি সীমিত সংস্করণের বই, যা এই বছর মাত্র ১৫০ কপি মুদ্রণ করা হবে।
📚🔔 এই শনিবার ২০ তারিখ, ভবতরণ বাবুর বৈঠক থেকে পাওয়া যাবে স্টক শেষ হওয়া পর্যন্ত। এখনই অর্ডার করে রাখুন!
📚 অভীক সরকার এর এই বইখানার আটখানা অধ্যায় বা মঙ্গল আটনলা বন্দুকের মত। যদি গুলি ছুটে যায়, তাহলে আর দেখতে হবে না। একেবারে ‘গোলি অন্দর, জান বাহার’। একবার পড়ে ফেলতে পারলেই বুঝবেন, এক-একটা অধ্যায়ের এক-এক রকমের আলাদা মজা আর বিষয়বৈচিত্র্য।
📜 এই মনে করুন, আপনি আকণ্ঠ ডুবে রয়েছেন ডিরোজিও, রাজা নবকৃষ্ণ, কালী সিঙ্গিঁ, রামগোপাল ঘোষ, প্রিন্স দ্বারকানাথ প্রমুখের সমকালীন দেশি-বিদেশি মদে, সেখান থেকে আপনাকে তুলে নিয়ে ফেলা হল প্রায় ওইসময় বা তার কিছু পরের বাস্তবে—প্রবাদে বিখ্যাত হরিদাস পাল, হরি ঘোষ, গৌরী সেন প্রমুখর সমকালীন পড়াশোনার বাতাবরণে।
🍷 মদ্যপানের মৌতাত ঘুচে গিয়ে বেশ একটা গদগদ আত্মম্ভরী ভাব এসে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তেমন নিশ্চিন্তে লেখক থাকতে দিলে তো! ফলে মদমাতাল আর মনমাতালদের পাশ কাটিয়ে এবার গিয়ে পড়তে হল নানারকম গন্ধের বেড়াজালে।
👃 গায়ে যেসব গন্ধ মাখতে মানুষ বিস্তর খরচ করতে পেছপা হয় না, তার কোন্টা আসে কার পেট ওগরানো বমি থেকে বা কোন্ প্রাণীর অণ্ডকোষ লাগোয়া গ্রন্থি থেকে, সেই সবের চক্করে কখন যে নিজের নাসারন্ধ্র প্রস্ফুটিত আর সংকুচিত হবে, পাঠক তা টেরই পাবেন না।
🏜️ এবার গন্ধে গা-গোলানো বা মন-আমোদিত হতে না হতেই অভীক আপনাকে নিয়ে ফেলল একেবারে ধাঁ-ধাঁ পোড়া নোনা মরুর দেশে। সেই আরব দুনিয়ায়।
🛢️ অষ্টমঙ্গলের লেখক চতুর্থ মঙ্গলে অত্যন্ত অল্প কথায় কিন্তু বিশদে বুঝিয়ে দিয়েছে পোস্ট-পেট্রোলিয়াম যুগে আরব দুনিয়াকে কবজা করার আগাপাশতলা। আর তেল নিয়ে সেই ফুটবল খেলায় পাঠকদের যখন সিয়া, সুন্নি, আল কায়দা, আল নুসরা আসাদ, মালিকি, কুর্দ প্রভৃতি নিয়ে তুর্কিনাচন শুরু করার জোগাড়, তখনই অভীক তাকে নিয়ে ফেলল তান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়।
🌀 অভীক সরকার নিজে তান্ত্রিক না হোক, পাঠককে তন্ত্র রহস্যরসে সে ডুবিয়েছে বারবার। এটা তার কমফোর্ট জোন। এবার অভীক যা বলেছে তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে তন্ত্র হল এক ধরনের ধর্মাচরণের সফ্টওয়্যার আর মন্ত্রকে বলা যায় প্রোগ্রাম।
📚 গল্পের মতো করে তান্ত্রিক আচার-আচরণ যেভাবে পাঠককে গিলিয়ে দিয়েছে, তাতে নতুন করে কেউ তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে ফিকশন লেখা শুরু করলে তার দায় অভীকের উপরেই বর্তানো ছাড়া গত্যন্তর নেই।
📜 এর পরবর্তী দুই অধ্যায়, অর্থাৎ কিনা ষষ্ঠ ও সপ্তম মঙ্গল হল দুর্গাপুজোর উৎস অনুসন্ধান আর অগ্রদ্বীপের ঘোষঠাকুরের নির্মাণ ও স্হাপন করা গোপীনাথ বিগ্রহের দখলদারি নিয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ও রাজা নবকৃষ্ণ দেবের কূটকচাল আর যতরকম অধর্ম পালন।
🚩 এইবার অষ্টমঙ্গলের চূড়ান্ত মঙ্গল বা ক্লাইম্যাক্স মঙ্গল রয়েছে আট নম্বর মঙ্গলে, মানে অষ্টম অধ্যায়ে। বুদ্ধদেবের জীবনকে ভিত্তি করে ঐতিহাসিক কাহিনি কিছু কম লেখা হয়নি, তবুও সবকিছুকে ধরেও বলতে হচ্ছে বুদ্ধদেবকে কেন্দ্র রেখে এমন মারদাঙ্গা, অপরাধ, মিথ্যাচারণ, পাপ আর তার পরিণতির কথা আর বুঝি কখনও লেখা হয়নি।
📖 অভীক সরকার, তার এই কাজগুলিকে বলবে নন-ফিকশন। কিন্তু মশাই, নন-ফিকশন পড়েও যে গায়ে কাঁটা দেয়, সেটা প্রমাণ করে এই লেখাগুলি। এই আটটি অধ্যায়, যাকে বলা যায় ‘বাংলা সাহিত্যে আটটা অ্যাটম বোমা’, তাদের উপর ভর করে যে বর্তমান বা ভাবীকালের কথাসাহিত্যিকরা একের পর এক ইতিহাস বা পুরাণ আশ্রিত সাহিত্য রচনা করবেন, তার গ্যারান্টি এখনই দিয়ে রাখা গেল।
Pritam Chattopadhyay (verified owner) –
নববস্ত্র, নবপরিধান, নবপ্রসাধন, নবঅঙ্গরাগের গন্ধ মুছে যায়নি। শারদ উৎসবের বিদায়ের রেশ এখনও আকাশ-বাতাস থেকে মিলিয়ে যায়নি। দীপাবলি পর্যন্ত আনন্দের এই আসন পাতা থাকবে। মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে এবারের মতো। হাওয়ায় কমতে শুরু করেছে আর্দ্রতার দাপট। অদূরে হেমন্ত ঋতু অপেক্ষা করছে প্রকৃতিকে অন্য অনুভবে বদলে দেওয়ার জন্য।
এমনই একটি সময়ে হাতে এলো বন্ধুবর অভীক সরকারের প্রবন্ধ সংকলন ‘অষ্টমঙ্গল’।
ভারতবর্ষের মহাকবি জগতের মাতাপিতাকে বন্দনা করেছেন একটি আশ্চর্য বিশেষণে মণ্ডিত করে: ‘বাগর্থাবিব সম্পৃক্তৌ’। বাক্ বা শব্দ এবং অর্থের মতোই তাঁরা পরস্পর সম্পৃক্ত, অবিচ্ছেদ্য। ‘শব্দব্রহ্ম পরব্রহ্মা উভে মে শাশ্বতী তনু’— শব্দব্রহ্ম ও পরব্রহ্ম এ-দুটি পরমেশ্বরের চিরন্তন তনু। সৃষ্টিতে তিনি শব্দরূপে ব্যাপ্ত, আর সৃষ্টিকে অতিক্রম করে তাঁর ব্যাপ্তি পরব্রহ্মরূপে। আধুনিক বিজ্ঞানও মেনে নেয় স্পন্দন বা vibration থেকেই লী এ-সৃষ্টি; স্পন্দনহীনতা মৃত্যুরই নামান্তর।
প্রাণের কম্পন বা স্পন্দনই নিঃসৃত হয়েছে জগতের সর্বত্র সে —এ-অনুভব হয়েছিল উপনিষদের ঋষির : “যদিদং কিঞ্চ জগৎ সর্বং প্রাণ এজতি নিঃসৃতম্।” এই স্পন্দন বা অভিব্যক্তিই চিহ্নিত হয়েছে ‘বাক্’রূপে। ‘বাক্ই অভিব্যক্তি তথা আত্মপ্রকাশের একমাত্র মাধ্যম। শাস্ত্রব্যাখ্যাতারা দেখিয়েছেন কেমন করে আদি বাক্ ওঙ্কার থেকে এ-জগতের সৃষ্টি। বাকেরই ঐশ্বর্য সূচি এই বিচিত্র ব্রহ্মাণ্ড। লক্ষণীয��, সংস্কৃতে বাক্ শব্দটি দেবী স্ত্রীলিঙ্গ। আসলে যেখানেই বাক্ বা প্রকাশ, সেখানেই সৃষ্টি তথা দেহধারণ—এবং তা অনিবার্যত মাতৃগর্ভেই। বাক্কেই বিশ্বপ্রসূতি বলে উপলব্ধি করেছেন শ্রুতির ঋষি। এই বাক্ বা শব্দকে ধরে বহুরূপে অভিব্যক্ত জগতকে ধরে—পরম ‘অর্থে’ অর্থাৎ পরমাত্মায় উপনীত হওয়াই ভারতবর্ষের সাধনা।
বাক্ ও তাঁর অর্থ একাত্ম শুধু নন—একতনু, যেমন অগ্নি আর তার দহনশক্তি। বাক্ আর অর্থ ভাষাস্তরে শক্তি আর ব্রহ্ম, পার্বতী আর পরমেশ্বর।
আমাদের মতো বেগানা পাঠক তাই সেই বাক্ আর অর্থ, সেই শব্দের সন্ধান করে চলি নন-ফিকশনে, প্রবন্ধে।
সমালোচকের কৈফিয়ত: গদ্যে রচিত প্রবন্ধ প্রথম দেখা দিয়েছিল ফরাসি সাহিত্যে। মিশেল-এ মতেইন (Michelle Montaigne, 1533-1592) এই ধরনের চিন্তামূলক গদ্য লিখে তার নাম দিয়েছিলেন ‘essai’ অর্থাৎ প্রয়াস।
খুব দ্রুত এই রচনা-ধারা ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে যায়। ইংরেজিতে ‘essay’ শব্দটি প্রচলিত হয় প্রবন্ধ অর্থে। বাংলা সাহিত্যে, ঔপনিবেশিক প্রেক্ষাপটে উনিশ শতকের প্রারম্ভ থেকেই প্রবন্ধ জাতীয় লেখার উদ্ভব হয়েছিল।
প্রবন্ধ বলতে আমরা বুঝি চিন্তনমূলক কোনো রচনা যা যে-কোনও বিষয় অবলম্বন করে লিখিত হতে পারে। অবলম্বিত বিষয়টির পরিচিতি দানের পর লেখক তাঁর নিজস্ব বক্তব্যে উপনীত হবার জন্য নিজের অভিমতকে যুক্তির সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত করবেন। যথোচিত নিরপেক্ষতার সঙ্গে সমগ্র তথ্য এবং পক্ষের ও বিপক্ষের যুক্তি বিন্যস্ত করে তিনি নিজস্ব সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন।
দৃষ্টান্ত ও প্রমাণের সাহায্যে বক্তব্যকে স্পষ্ট ও সুদৃঢ় করা বাঞ্ছনীয়। এই অর্থেই প্রকৃষ্ট বন্ধন অর্থাৎ ‘প্রবন্ধ’ শব্দটি বিশেষভাবে প্রচলিত। সাধারণত প্রবন্ধ গদ্যে রচিত হয়। মধ্যযুগের বাংলায় গদ্যের প্রচলন ছিল না বলে পয়ার বন্ধেও এজাতীয় রচনা লিখিত হয়েছে।
চিকিৎসাশাস্ত্র, তর্কশাস্ত্র, ধর্মতত্ত্বের আলোচনাকে প্রায় প্রবন্ধই বলা যায়। ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থের অংশবিশেষকে প্রবন্ধ আখ্যা দিলে অনুচিত হয়না।
ঠিক কীরকম হওয়া উচিত একটি সার্থক প্রবন্ধ? তথ্যবহুল, মনোমুগ্ধকর, শ্বাসরুদ্ধকর, টানটান উত্তেজনায় ভরপুর গতিময় — এমন একটি আখ্যান, যা কিনা বই হাতে পাঠককে বসিয়ে রাখে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত এবং পড়া শেষ হয়ে গেলেও পাঠকের মন থেকে হারিয়ে যায় না গদ্যের নির্যাস?
সফল প্রবন্ধের প্রাথমিক শর্ত কি এটাই? সেদিক থেকে বিচার করলে ‘অষ্টমঙ্গল’ একটি সার্থক প্রবন্ধ সংকলন। আটটি প্রবন্ধের গদ্য বুননেই রয়েছে বৈচিত্রের ছোঁয়া। অনাবশ্যক তথ্য এবং ন্যারেটিভে স্ফীত হয়নি গদ্য-কলেবর।
বিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক অল্ডাস হাক্সলে তাঁর প্রবন্ধ সংগ্রহের (১৯২৩) মুখবন্ধে তিন রকম (‘three-poled frame of reference’) প্রবন্ধের কথা বলেছেন। ১) ব্যক্তিগত, আত্মকথাধর্মী, ২) কংক্রিট, তথ্যভিত্তিক, ৩) বিমূর্ত, সর্বজনীন। তাঁর মতে, শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধ এই তিনটি স্তরকে মিলিয়ে দিতে পারে। এই সংকলনের আটটি প্রবন্ধই হাক্সলে কথিত ত্রিস্তরীয় পূর্ণত্বের অংশভাক।
আলোচনার সূচিমুখে আপনার সঙ্গে একটি প্রসঙ্গ ভাগ করে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা পাঠক। সংকলনের প্রায় প্রত্যেকটি প্রবন্ধেই যা বিশেষ করে চোখ টানে , তা লেখকের অসামান্য কৌতুকবোধ।
বাংলা সাহিত্যে হাস্য কৌতুক ব্যঙ্গ বিদ্রূপ-এর অভাব বড় একটা ঘটেনি। শুধু অভাব ঘটেনি বললে হয়ত ভুল বলা হবে, তার যে রেওয়াজ ছিল তা উচ্চমানের। শেক্সপিয়ারের ভাষা ধার করে বলতে গেলে: With mirth and laughter let old wrinkles come / And let my liver rather heat with wine, than my heart cool with mortifying groans…
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে কে ভুলতে পারে ? কার পক্ষে ভোলা সম্ভব মাইকেল দীনবন্ধু জ্যোতিরিন্দ্রনাথের রচিত প্রহসনগুলি? হুতোম প��ঁচার নকশার তুলনা কোথায় ?
ধরা যাক বঙ্কিমচন্দ্রের কথা। বঙ্কিমের উপন্যাসের নানা জায়গায় এবং লঘুপ্রবন্ধে যে উজ্জ্বল সকৌতুক, কখনও ব্যঙ্গময় কখনও অতি সরস সৌন্দর্যমণ্ডিত হাস্যরস ছড়িয়ে আছে তারই বা তুলনা কই । ত্রৈলোক্যনাথ ? দ্বিতীয় কেউ আছে নাকি ?
আর রবীন্দ্রনাথ! রবীন্দ্রনাথের মধ্যে কৌতুক-রসের যে রুচি, আভিজাত্য, মার্জিত রমণীয়তা ছিল তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা জন্যে কলম ধরার দরকার করে না। তাঁর কৌতুকের অন্যতম একটি গুণ ছিল ভাষা এবং শব্দ প্রয়োগ, বাইরে থেকে যার চার আনা দেখা যেত আর বারো আনা থাকত লুকোনো, সুরসিক পাঠকমাত্রেই তা অনুভব করতে পারতেন।
রবীন্দ্রনাথের পর যে বাংলা সাহিত্য থেকে হাস্যরস উধাও হল তাও নয়। আমরা একাধিক উল্লেখযোগ্য উৎকৃষ্ট লেখক পেয়েছি যাঁদের রচনা বাংলা সাহিত্যের এই বিশেষ শাখাটিকে সমৃদ্ধ করেছে । এক ‘পরশুরাম’-ই তো স্বতন্ত্র অধ্যায় তবু স্বীকার করে নিতে হবে। অভীকের মার্জিত কৌতুকবোধ ও তীব্র শ্লেষ-জারিত শব্দবন্ধ এই সংকলনের প্রাণভোমরা।
ভাবুন তো পাঠক, আপনি আজও হুতোমের সমকক্ষ রম্যরচনা খুঁজে বেড়ান না? কিন্তু হুতোমি ভাষাকে শুধু ভাষা-ছাঁদের বিষয় বলে ধরলে বোধ হয় অর্ধেকটা বিশ্লেষণ করা হয়। বাকি অর্ধেকটা সন্নিহিত আছে দর্শনে। প্রশ্ন হল, আজকের সমাজে উপাদানের কোনও কমতি নেই। কিন্তু হুতোমি ফিলোজ়ফি তৈরি হচ্ছে না। কেন? এ দোষ (বা বৈশিষ্ট্য) শুধু সাহিত্যের চলনের উপরেই বর্তায় না। হুতোমি সমাজের মধ্যেই এর কারণ লুকিয়ে আছে।
হুতোমি ভাষাকে সহ্য করার সহনশীলতা সেই সমাজের ছিল। কিন্তু আজকের সমাজ কি তা পারবে? দ্বিতীয় কথা হল, হুতোম আছে, হুতোমের কলমও আছে, হুতোমের সময় নেই। রঙ্গ করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন উদাসীন দৃষ্টি আর স্থিরতার প্রয়োজন। আজ সেই অবসর এই সমাজ কাউকে দেয়নি।
অনেকে বলে থাকেন যে, আদতে বাঙালি হুতোমের মতো তীব্র আত্মবিশ্লেষণমূলক রঙ্গব্যঙ্গের প্রয়োজনীয়তা আর অনুভব করে না। সরস রসিকতা, হাস্যরস বা রঙ্গব্যঙ্গের অভাবে যে বাঙালি-মানস যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে, শুষ্ক হৃদয় নিয়ে শুধুই অর্থ প্রতিপত্তির পিছনে ছুটে জীবন থেকে আনন্দ সরে যাচ্ছে, সে বিষয়ে বাঙালি সচেতন নয়। সে অভাব পরিপূর্ন মিটিয়ে দিয়েছেন প্রা���ন্ধিক অভীক সরকার। এই দীর্ঘদেহী, ঋজু মানুষটির গদ্যও সরস, ঋজু, কৌতুকের রোদ্দুর মাখানো।
আলোচনা: সুলেখক, প্রাবন্ধিক প্রসেনজ��ৎ দাশগুপ্ত সামান্যতম অত্যুক্তি করেন না, যখন তিনি বলেন, “অভীক সরকারের এই বইখানার আটখানা অধ্যায়কে এক-একটা ভুরপি তলোয়ার বলা যায়। কিংবা আটনলা বন্দুক একখানা। ……….একবার পড়ে ফেলতে পারলেই হল। এগুলির এক-একটায় যেমন এক-এক রকমের আলাদা মজা, তার থেকেও মজাদার আর চমকপ্রদ ব্যাপার হল এগুলির বিষয়বৈচিত্র্য।”