Description
ভূমিকা
কত কথা মানুষ বলে যায়, কত ছবি আঁকা হয়ে যায় মহাকালের দেওয়ালে। বৈদিক সাহিত্য থেকে পুরাণ হয়ে বৌদ্ধযুগ। সময়ের নিরিখে অনেকখানি, কিন্তু একই সত্য উচ্চারিত হয়েছে বারংবার। মানবসভ্যতার ইতিহাসে ন্যায় নীতি, জীবনদর্শন, অতিজাগতিক বিষয়ে নানা প্রশ্নে ভারতের অধ্যাত্মশাস্ত্রের অবদান। অনেকখানি। ঠিক সেটা কতখানি এ বিচার করবেন বিশ্ববিধাতা। আমরা কেবল তা বারংবার মন্থন করব। নিজে জানব এবং আমাদের ঐতিহ্যকে অপরকে জানাতে চেষ্টা করব। লোকশিক্ষার তাগিদে রচিত পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে মিলেমিশে আছে প্রাচীন সমাজের গন্ধ। রাজনীতি, তার ন্যায়ধর্ম, দেবতাদের অলৌকিক বিবরণ, আবার সমভাবে লৌকিকধারায় অতি সাধারণের মতো দ্বন্দ্ব- বিবাদের অপূর্ব বর্ণনা। এ হল জীবনের খোলা পৃষ্ঠা যেখানে অতিবাস্তবতার সঙ্গে লিখিত হয়েছে চরম বাস্তবতা-পূর্ণ উপাখ্যান। ক্ষমতায়নের ঈর্ষা যেন মূর্ত হয় দেবরাজ ইন্দ্রের ঈর্ষা কাতরতায়। আবার ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এই প্রধান তিন দেবতা,দেবকুল বা অসুরের তপস্যায় বরদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নিরপেক্ষ! অসুরেরা তপস্যা করে ইচ্ছামত অমরত্বের বর গ্রহণ করছে। এই নিরপেক্ষতা থাকলেও বিপদগ্রস্ত স্বর্গবাসী দেবতাদের রক্ষা করার উপায়ও নির্ধারণ করেন প্রধান তিন দেবতাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের নিরপেক্ষতাই দেবাসুরের মধ্যে যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে বারংবার। পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে সাধারণ মানুষের সমস্ত রকম প্রবৃত্তির প্রকাশ আমরা দেখি। কোনও চরিত্র সম্পূর্ণ নয়, সম্পূর্ণ হয়ে উঠবার পথে সকলেই সহযাত্রী।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.