Description
ছোটখাটো মদের বারকে সাধারণত আমরা ঘৃণা বা অবহেলার চোখেই দেখি। কিন্তু এরকম একটি বারের মালিক ও কর্মচারীদের নিষ্ঠা, কঠিন জীবন-সংগ্রাম ও স্বপ্নের কথা আমরা কখনো ভাবিনা। এইসব স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্খা নিয়েই লেখা উপন্যাস দাদার ঠেকায়। একটি সংকীর্ণ এঁদো গলির মধ্যে মদের বার। নামও আছে একটা। সুপার বার। কিন্তু লোক বলে দাদার ঠেকা। গলিটা সংকীর্ণ হলেও এখানকার মানুষগুলোর মন কিন্তু সংকীর্ণ নয়। ঠেকার মালিক অর্থাৎ দাদা শ্যামলের সাথে সাথে বারের কর্মচারীরাও স্বপ্ন দেখে এই বার একদিন অনেক বড় হবে। বারের কর্মচারী সেলিম। দাদার প্রতি আন্তরিক ভাবে আস্থাবান। করোনার সময় বার বন্ধ থাকলে সে মালিকের কাছে টাকা চাইতে দ্বিধা বোধ করে। বারের মালিক দাদা অন্যদের কাছে ধিকৃত হলেও মুসলিম হওয়ার কারণে কর্মচারী সেলিমকে ছাড়িয়ে দেবার কথা ভাবতে পারে না। আরেকটি কর্মচারী হরে, তার উচ্চারণ অস্পষ্ট বলে সবাই হাসাহাসি করলেও তাকে দাদা কাজে রাখে। আবার এমন কর্মচারীও আছে যে পয়সা জমানোর স্বপ্ন দেখে টোটো কিনবে বলে। হঠাৎ করেই এলাকায় আরেকটা বার তাদের কম্পিটিশনে ফেলে দেয়। দাদা সেই বারে গিয়ে সরজমিনে দেখে এসে ওদের টক্কর দেবার প্ল্যান খোঁজে। অন্য বারটির মালিক দাদার ঠেকাটি বেশি দামে কিনে নিতে চাইলে আরো এক নতুন সমস্যার উৎপত্তি হয়। এই অবস্থায় তৃতীয় আরেকটা বার গজিয়ে ওঠে। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া হয়ে চেপে বসে লকডাউন। শেষমেষ অনেক লড়াই করে টিকে থাকে দাদার ঠেকা।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.