কোজাগরী পূর্ণিমার চাঁদ একটু একটু করে গলে মিশে যাচ্ছে সমুদ্রের বুকে। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে স্বয়ম। সে কি আসবে এবারে? শেষ হবে তার প্রতীক্ষা?
দোতলার বারান্দা থেকে উঁকি দিয়ে সিঞ্জিনী দেখে আজও তার শাশুড়ি অনসূয়া রিক্সায় উঠে চলে গেলেন। কোথায় যান অনসূয়া? সিঞ্জিনী কি আদৌ জানতে পারবে তার শাশুড়ির এই অজানা সফর?
মাথা কাজ করছে না তন্নিষ্ঠার। একে তার বাপি হাসপাতালে জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আর এদিকে আলমারির কোণের ছোট্ট লকার তাকে কোন গোপন কথা বলতে চাইছে? দিশেহারা তন্নিষ্ঠা কি পাবে সেই গোপন কথার হদিশ?
অতনুর চোখের সামনে ঝলমলে আকাশ ধূসর হয়ে গেল। ঝলমলে দিন কি সে আর কখনও দেখতে পাবে না? যে আশায় তার প্রতিনিয়ত ছুটে চলা, তা কি অধরাই থেকে যাবে? … গুজগুজ, ফিসফাস সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ির লোকজনের মুখে আতঙ্কের ছায়া কালি ঢেলে দিয়ে যাচ্ছে। আতঙ্ককে পিছনে ফেলে মৈত্রবাড়ি ঝলমলে হয়ে উঠবে তো? নীতা কোথায় থাকে? স্বপ্নে না জাগরণে? কার সঙ্গে তার যাপন? তার মনের ঘরে কে বাস করে? পুলক কি পারবে নীতার যাপনকালের অনুভূতিকে আপন করে নিতে?
এরকমই সব প্রশ্ন আর জীবনের কথামালা জড়ানো প্রশ্ন আর উত্তর খুঁজে চলার আখ্যান এই বইয়ের ২৪টা গল্পে মিশে আছে। সমাজ, মনন, জীবন একসূত্রে গাঁথার প্রয়াস। এক সামাজিক গল্পসংকলন। নাম একমুঠো জীবন।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.