Description
হিমযুগ ফিরে আসছে আবার। তুষার জমছে মানুষের মনে। কলকাতা থেকে পাহাড়ে চাকরি নিয়ে যাওয়া রুক্মরথ দেখে এমনই এক হিমযুগ যেন নেমেছে নামকরা লেখক মেঘাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে, সংসারে। তাঁর স্ত্রী জয়া যেন এখানে থেকেও নেই। বড়দাদা হিমাদ্রি মানসিকভাবে অসুস্থ। প্রথম পক্ষের মেয়ে কুটু সারাক্ষণ এক অব্যক্ত রাগে আর ঘৃণায় নিজে যেমন ছিন্নভিন্ন হয় তেমন ছিন্নভিন্ন করে দিতে চায় আশেপাশের সবাইকে। মাঝে এসে পড়ে সুদর্শন কলেজের প্রফেসর সুনাভ৷ মেঘাদ্রির গুণগ্রাহী এই যুবকটি ক্রমশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে জয়ীর প্রতি। আর এইসবের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছোট ঘাসফুলের মতো বেঁচে থাকে হিমাদ্রির একমাত্র মেয়ে বাসু। অসুস্থ মেঘাদ্রি বোঝেন ভালবাসার জয়ী ক্রমে শত্রু হয়ে উঠছে। বুঝতে পারেন মেয়েও সরে যাচ্ছে দূরে। আর এইসব ভাঙনের মধ্যে প্রতীকের মতো দাঁড়িয়ে থাকে কবেকার এক ভিন্টেজ গাড়ি। ছোট্ট একটা পাহাড়ি শহরের ঘৃণা, দ্বেষ, বিশ্বাসঘাতকতার বরফশীতল কাঠিন্যের গল্প যেন এই সময়ের মানুষজনের গল্পের প্রতীক হয়ে ওঠে। তবু এর মধ্যে থেকেও উত্তরণের একমাত্র উপায় যে ভালবাসা, বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস সে কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দেয় ‘হিমযুগ’ উপন্যাস।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.