ইঙ্গবণিকের বঙ্গবিজয়
১৬০৮ সালে সুরাট বন্দরে এলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি উইলিয়াম হকিন্স। মোগল সম্রাট জাহাঙ্গিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুঠিস্থাপন ও বাণিজ্যের অনুমতি চাইলেন। সুরাট থেকে দক্ষিণ ভারত ও ওড়িশা হয়ে বাংলায় এল ইংরেজরা। ১৬৫০ সালে হুগলিতে কুঠিস্থাপন করল। তারপর ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে জয় লাভ করে তারা এদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রায় করায়ত্ত করে নিল। ১৬০৮ থেকে ১৭৫৭ এই দেড়শো বছরে ভারত ও মোগল শাসনাধীন সুবে বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য বিস্তারের পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত আখ্যান ‘ইঙ্গবণিকের বঙ্গবিজয়’। সেই সঙ্গে লিপিবন্ধ হয়েছে এই সময়ে কলকাতা শহরের জন্ম ও ক্রমবিকাশের চিত্তাকর্ষক কাহিনি। কেন জানি না, সময়টা খুব আকর্ষণ করে আমাকে । ১৬০৮ থেকে ১৭৫৭। এই দেড়শো বছরের ইতিহাসের একটা অধ্যায় নিয়ে লিখে ফেললাম একটা ঐতিহাসিক আখ্যান – ‘ইঙ্গবণিকের বঙ্গবিজয়’। ইতিহাসের ডিগ্রি নেই। এমন লেখা লেখার অধিকার আমার আছে কিনা জানি না। যাই হোক, কেমন হল লেখাটা। এ বিষয়ে কোনও বিদগ্ধ মানুষের মতামত জানার জন্য ছটফট করছিল মনটা। ঘটনাচক্রে এই সময় হঠাৎই আলাপ হল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্ডিনার অধ্যাপক ঐতিহাসিক সুগত বসুর সঙ্গে। এমন নিরহংকার পণ্ডিত মানুষ আমি বড় একটা দেখিনি। স্যারকে বললাম লেখাটার কথা। উনি দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করলেন। লেখাটা পড়তে চাইলেন। পড়ে বললেন, ‘বেশ ভালো হয়েছে। যখন এটা বই হিসেবে বেরোবে আমি মুখবন্ধ লিখে দেব।’ আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়লাম। এতটা সৌভাগ্য আমার হতে পারে, সত্যিই ভাবিনি। এ আমার কাছে এক পরমপ্রাপ্তি । বন্ধুদের জন্য এখানে শেয়ার করলাম স্যারের লেখা প্রাককথা. —–
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.