মানুষের মন এক বিচিত্র সাতমহলা। আলো-আঁধারির খেলা চলে সেখানে। সভ্যতার পালিশ আর সময়ের পলেস্তরা তাকে আপাত ঝলমলে করে রাখে। কিন্তু সে যেন অনেকটাই ইনভার্টেড রিয়ালিটি।
মনের গহন অন্ধকারকে জানার এই পদ্ধতির নাম টি-গ্রুপ মেথড বা হিউম্যান প্রসেস মেথড। চারের দশকে এর আবিষ্কর্তা মিঃ কুর্ট নামের জনৈক আমেরিকান মনস্তত্ত্ববিদ। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকান সমাজে সাদা-কালোর বিভেদ গ্রুপ এক্সারসাইজের মাধ্যমে দূর করা বা দুই কমিউনিটির মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব কমিয়ে আনা।
লেখক রঞ্জন রায়ের সুযোগ হয়েছিল ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ অ্যাডভান্সড বিহেভিরিয়াল সায়েন্সের দুটো আবাসিক শিবিরে যোগ দেওয়ার। সামনে থেকে দেখেছিলেন এই পদ্ধতির ব্যবহার। দেখেছিলেন, একজন মানুষের ভিতর সত্যিই বসত করে কয়জনা। সেই অভিজ্ঞতার আধারেই নির্মাণ এই উপন্যাসের।
নির্জ্ঞান মনের গহনে উঁকি দিয়ে যে অন্ধকার লেখক দেখেছিলেন, তা সত্যিই আলোর অধিক। কারণ, তা একজন ব্যক্তিকে তার সত্যের সামনে দাঁড় করায়। এই আখ্যান মূলত অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত সেই আলোর কথা।
প্রচ্ছদ- পার্থপ্রতিম দাস
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.