পার্থপ্রতিম দাসের বীরভূম নিয়ে ব্যক্তিগত গদ্য।
তখন লকডাউনের সময়। ঘরবন্দি অভ্যাসে, ক্রমাগত আমরা সবাই ক্লান্ত হতে শুরু করেছি। আর কতদিন!
আমি বীরভূমের বাড়িতে বন্দি। বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ প্রায়। অথচ বীরভূমের এদিক-সেদিক, মাঠ-ঘাট টানছে। বীরভূমে তখন চোত-বোশেখ। উদাসী বাতাস ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। ঘর থেকে টেনে বের করতে চাইছে। সেই উপায়হীন অবস্থায় শুরু হল এই লেখাগুলো। ‘আমার বীরভূম’ নামে। ব্যস! লেখা আর সেগুলো ফেসবুকে পোস্ট, সঙ্গে কিছু আঁচড় কেটে, অলংকরণের মতো করে। অনেকে বলল লেখা-আঁকাগুলো নিয়ে একটা সংকলন করতে। যদিও আমার বই করার মতো তেমন সংগতি বা আত্মবিশ্বাস কোনোটাই ছিল না তেমন। তাই ভাবিনি তেমন করে বইয়ের কথা…
হঠাৎ, একদিন রোহণের ফোন। রোহণ কুদ্দুস। সৃষ্টিসুখ প্রকাশনের রোহণ। বলল, “পার্থদা, তোমার এই লেখাগুলো আমাকে দাও আঁকাগুলো সমেত। আমি ছাপতে চাই!”
আমি অবাক হয়েছিলাম। আমি জানি না লেখাগুলো কেমন বা কী। তবে রোহণের কথায় সেদিন বেশ একটা স্বপ্ন-স্বপ্ন ভাব জেগেছিল মনে, বই হবে আমার!
সে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে অবশেষে লেখাগুলো বই হয়ে বেরোচ্ছে। অলংকরণগুলো সমেত। ছবিগুলো নতুন করে কিছু এঁকেছি আবার, কিছু ক্ষেত্রে পুরনোগুলোকেই পরিমার্জন করেছি। ছবিগুলো যদিও সব একই আঙ্গিকে আঁকা নয়। একটু অদলবদল আছে আঙ্গিকে।
এই বই হওয়ার পুরো কৃতিত্ব রোহণের প্রাপ্য। আর বাকি যারা এই লেখাগুলো নিয়ে বই করার কথা বলেছিলেন, তাঁদের ভালোবাসা প্রাপ্য। বাকিটা তো পাঠকের হাতে…
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.