তুষ্টি ভট্টচার্যের রম্যগদ্য।
প্রচ্ছদ – সুমিত রায়
পদাকে আপনারা চেনেন নাকি? চেনেন না! ঢ্য়াঙামতো যে-ছেলেটা লেখককে হামেশা জ্বালাতন করে ফেরে; ফেসবুকের কোনও পোস্ট হোক কিংবা পত্রিকা-প্রকাশ, ফুটবল বিশ্বকাপ হোক বা রাজনীতির ঘোলাজল- সবকিছুতেই পদার ফোড়ন কাটা মাস্ট। এদিকে লেখক তো তিতিবিরক্ত। এ-কথা সে-কথায় এই যেন লেগে যায় লাঠালাঠি। ঠিক তখনই আবির্ভাব হয় মাদাম তুভোঁর। তিনি এসে শান্ত করেন দুজনকে। তপ্ত আসরে নীতিজ্ঞানের জল ঢালেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র অফুরান। কিন্তু তাতে কী! অন্য কোনও টপিকে পদা আবার স্বমহিমায় অবতীর্ণ হয়। এহেন পদাকে আপনারা চেনেন না? গম্ভীর মানুষরা বলেন, পদা নাকি আমাদেরই অল্টার-ইগো। ‘পদাবলি’র এই জগৎ আসলে সামাজিক মাধ্যমে আমাদের অযৌক্তিক তর্ক, নীতির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতার প্রতি মোলায়েম ঠাট্টা। কিন্তু এত গম্ভীর কথায় কাজ কী! এসব বললেই পদা আবার টুং করে কোথায় কী বলে বসবে তার ঠিক নেই। তাই বরং পদা আর অন্যদের কাণ্ডকারখানার ভিতরই ঢুকে পড়া যাক। কে বলতে পারে, আমাদের হারিয়ে যাওয়া আয়নাখানা হয়তো এই দু-মলাটেই রাখা আছে!
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.