Description
আত্মজীবনীমূলক যে-বইয়ের জন্য লীলা মজুমদার পেয়েছিলেন রবীন্দ্রপুরস্কার, সেই বইয়ের পরিপূরক ও পূর্ণতার খণ্ড, ‘পাকদণ্ডী’। পাহাড়ের গা-ঘেঁষা পাকদণ্ডীর আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে যেভাবে দু-পাশের দৃশ্য দেখতে-দেখতে, কখনও এগিয়ে কখনও পিছিয়ে, একসময় পৌঁছে যাওয়া যায় শিখরে, সেভাবেই তাঁর স্মৃতির পাকদণ্ডী পথ ধরে লীলা মজুমদার পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর গন্তব্য। আর সেই রমণীয় যাত্রাপথে অসাধারণ মজলিশি গল্প-বলার আকর্ষণে সঙ্গী করে নিয়েছেন পাঠককে। এই পথ শুধু যে সুদীর্ঘ তাই নয়, বহু বিশিষ্ট ঘটনাপরম্পরাতেও আকীর্ণ। শুরু সেই ১৯৩৩ সালে, তাঁর বিয়ের গল্প দিয়ে। এই সেই সময় যখন কল্লোল যুগের সূচনা। একে-একে এল রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের উত্তাল দিনরাত্রি স্বাধীনতা ও দেশবিভাগ। এল তাঁর খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠার দিন। এল আকাশবাণীর চাকরি, শিশুপত্রিকা সম্পাদনার কাজ, এল পুরস্কার ও সংবর্ধনার সময়। সেইসব দিনগুলির সূত্রে পুরো জীবনের অভিজ্ঞতাকেই উজ্জ্বল ও জীবন্তভাবে এ বইতে ফিরিয়ে এনেছেন লীলা মজুমদার। ‘পাকদণ্ডী’ শুধু স্মৃতিকথা নয়, এই শতাব্দীরই অমূল্য এক দলিল।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.