অমিতাভর উপন্যাস
‘তাহলে নিখুঁত খুন ঘটতে পারে না বলেই তোমার মনে হয়?’ জিজ্ঞাসা করল প্রণবেশ।
“উহু। ঘটতেই পারে। কিন্তু সেটাকে নিখুঁত প্রমাণ করা সম্ভব নয় এটুকু দাবি।’ সশব্দে নস্যি টেনে শুদ্ধসত্ত্ব উত্তর দিল। তারপর লম্বা শরীরটা টানটান এলিয়ে দিল ইজিচেয়ারের ওপর ।
‘কেন?’
‘দ্যাখো, পৃথিবীর সবথেকে বুদ্ধিমান এবং নিখুঁত খুনি হিসেবে তুমি কাউকেই দাগিয়ে দিতে পারবে না। সহজ কারণ। যে নিখুঁত খুন করবে, সে চিহ্নিত হবে না। ধরাও পড়বে না। তাই দাগানো অসম্ভব।’ “ঠিকই। কিন্তু খুনির বেলায় যে তত্ত্ব খাটে, খুনের বেলায় খাটে না।’
‘খাটে, অন্যরকম ভাবে। যে খুনটা নিখুঁত হবে, তাকে তুমি খুন হিসেবে শনাক্ত করতে পারবে না। ভাববে আত্মহত্যা, বা অ্যাকসিডেন্ট। আর শনাক্ত করলে, সেটা নিখুঁত হবে না।
“কেন হবে না? খুনি ধরা না পড়লেই হবে।’
“উফ্! আমরা এখানে হত্যার দর্শন নিয়ে আলোচনা করছি।’ বিরক্ত স্বরে শুদ্ধসত্ত্ব বলল। ‘খুন হলো একটা শিল্প। আর গোয়েন্দা হলো সেই শিল্পের ক্রিটিক। সমালোচক যেমন শিল্পকর্মের ভেতর থেকে লুকানো নানা চিহ্ন খুঁজে খুঁজে ব্যাখ্যা করেন, গোয়েন্দাও একটা হত্যার মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন ক্লু খুঁজে খুঁজে হত্যার ব্যাখ্যা দেয়। শুদ্ধতম শিল্প কী? ব্যাখ্যার অতীত। কবির কথায়, অবাঙ্মনসগোচর। ব্রহ্ম থেকে উৎপন্ন যে নাদ, অথবা ভ্যান গঘের ছবিতে একপাশ থেকে এসে ঠিকরে পড়া এক অপার্থিব
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.