এশরার লতিফের গল্প সংকলন।
এই লেখকের খুব শক্তিশালী জায়গা সম্ভবত মানুষের অন্ধকার দিক নিয়ে বোনা গল্প। যেমন ‘সখী, ভালোবাসা কারে কয়’। বাংলা সাহিত্যে বীভৎস রসকে আশ্রয় করে লেখালেখি খুব কম চোখে পড়ে। এই গল্পটি তার সার্থক উদাহরণ। আরও একটি গল্প ‘শিক্ষক, তক্ষক’। মানুষের রিরংসা, প্রতিহিংসা, ঘৃণাকে অহেতুক বিশ্লেষণ না করে তাকে যথাযথভাবে হাজির করেছেন লেখক খুব ছোট ছোট ঘটনায় আর বর্ণনায়। একটা আচমকা শর্ট ফিল্ম যেন। মানুষের অন্ধকার নিয়ে লেখা হয়েছে ‘স্ফটিক বাড়ি’ গল্পটিও। ব্যক্তিগতভাবে এই গল্পটি বড় প্রিয় আমার। যেমনটা আগেই বলেছি, এই গল্পের সূত্রেই লেখকের সঙ্গে আমার পরিচয়।
বাংলাদেশের বর্তমান পটভূমিকায় লেখা ‘থাকে শুধু অন্ধকার’। একজন মা খুঁজে চলেছেন তাঁর নিখোঁজ সন্তানকে। মর্গ থেকে শুরু করে পুলিশ হাজত, এনকাউন্টার স্পট — আশা-আশংকার দোলাচলে পাঠকও অনুসরণ করে চলেন এক মাতৃহৃদয়কে।
এশরার লতিফের গদ্যের ভাষা সহজ, সুখপাঠ্য। প্লট দুর্বল হোক বা ঠাসবুনোট — পাঠককে গল্পের মধ্যে টেনে রাখার ক্ষমতা তাঁর আয়ত্তে। এশরার আরও লিখুন, ভালো লিখুন — তাঁর পাঠক হিসাবে সাগ্রহে অপেক্ষা করছি।
— রোহণ কুদ্দুস
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.