Description
ভারতের শেষ রাজা ওয়াজিদ আলি শাহের জীবন মহাকাব্যের নায়কের মতো নানা বর্ণে রঞ্জিত। শুধু ৩৭৭ জন পত্নীগ্রহণ করে তিনি আমোদে-আহ্লাদে দিনাতিপাত করেননি, রাজ্যশাসনে ছিলেন অত্যন্ত পটু। আনখশির উদার ও ধর্মনিরপেক্ষ অবধের এই শাসকের মুকুট কেড়ে নেয় কূট ইংরেজ। শান্তির পূজারী ওয়াজিদ আলি শাহ নির্বাসনস্থল হিসাবে বেছে নেন কলকাতার মেটিয়াবুরজ অঞ্চল। সেখানে গড়ে তোলেন তাঁর সাধের ছোটা লখনউ। মসনভি, গজল, মর্সিয়া, ঠুমরি লিখেছেন অজস্র। সুর দিয়েছেন গানে। কথক নাচে বিশেষজ্ঞ রাজা রচনা করেছেন ধ্রুপদী সঙ্গীতের ইতিহাস, বানিয়েছেন পঞ্জিকা, গড়ে তুলেছেন অজস্র ইমারত, চিড়িয়াখানা, পরিখানা, ছাপাখানা, বাজার আর ইমামবাড়া। একের পর এক ঝড় এসেছে ব্যক্তিগত জীবনে। রাজা ওয়াজিদ আলি অটল থেকেছেন বন্দিজীবনেও। তাঁর এই উচ্চশির জীবন ঊনবিংশ শতকের বাঙালি জীবনকেও নানা মাত্রায় প্রভাবিত করেছিল। ওয়াজিদ আলির মহাকাব্যিক জীবন অবলম্বনে প্রায় দেড় লক্ষ শব্দের বৃহৎ উপন্যাস লিখলেন তরুণ কথাসাহিত্যিক শামিম আহমেদ। ইতোমধ্যেই এজিদের জীবনকেন্দ্রিক উপন্যাস ‘বিষাদবিন্দু’ লিখে তিনি পাঠকের কাছে পরিচিত নাম।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.