প্রতিটি কবিতা এক আশ্চর্য ভোর। কিংবা গোধূলি। যেখানে নীরবতাই কথা বলে ওঠে। কিংবা যে-কথা বলতে নেই, তাও বলা হয়ে যায়। অনুচ্চারেই। সুদীপ্তা সর্বজ্ঞ তাঁর কবিতাতে এই কথাদের ধরতে চান। ধরতে চান না-বলা কথাদেরও। অর্থাৎ, যা বলা উচিত। বলে ফেলা ভালো। ফলে কখনও বাঙ্ময়, কখনও নিশ্চুপ,- এই দোলাচলের ভিতরই জন্ম নেয় তাঁর কবিতার আকাশ।
আসুন, পড়া যাক সুদীপ্তার কবিতা —
সবাই একটা মানুষ চায়
শাসন করার মানুষ।
আদর করে রাগ ভাঙানোর মানুষ—
ছোটোবেলার গল্প বলার মানুষ—
যারা বলে মানুষ চাই না তারা কেউ মানুষ পায়নি,
জ্ঞান বাড়লে স্বপ্ন এগোয়, তারা পরিকল্পনায় ভাসে
বছরের পর বছর কাটে ঘুমের সাথে লড়াই করে;
জেগে উঠলে দেখতে পায় আর তো মানুষ নেই কোথাও!
কুকুর, বিড়াল, গোটাকয়েক খরগোশ—
ঘরে ফিরে চোখের জলের শুকনো দাগ
ওরা একাই মোছে,
দেখা হয় না রোদ পড়ে মানুষটার গলার ঘাম
কেমন স্ফটিক হয়ে যায়,
ট্রেনের জানলার ধারে উড়তে থাকা চুল
যখন মানুষটার মুখে এসে পড়ে, সেই বিরক্তিতে
প্রেম নামে— ধুলো মাখা স্টেশনে,
জানা বাকি থেকে যায় আরো কত কী—
শেষ প্ল্যাটফর্মে কোনও মানুষ থাকে না।
প্রচ্ছদ – অভিব্রত সরকার
সৃষ্টিসুখ প্রিন্ট
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.