OUR ADDRESS
Kolkata
Shyama Charan Dey St,
College Street, Kolkata,
West Bengal 700073
College Street, Kolkata,
West Bengal 700073
Email: hello@matribhasa.com
Phone: +91 9658986525
CONTACT US
Got a question or need a hand with anything on our website? Just reach out to our friendly support team!
Snehasis Das (verified owner) –
একটু আগেই বইটি শেষ করলাম। একটা মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। তন্ত্র আশ্রিত বই হিসাবে এটি খুবই দুর্বল। কৃষ্ণচন্দ্র বাবুকে আনার কোনো দরকার ছিলনা। কিন্তু কল্পবিজ্ঞান আশ্রিত থ্রিলার হিসাবে খুব একটা খারাপ না। Dark এর মত web series এর যুগে বিজ্ঞানের কনসেপ্ট গুলো আর একটু বিশ্বাসযোগ্য হলে ভালো হতো। পড়ে দেখতেই পারেন বইটি, টানটান ভাবটা আছে পুরো দস্তুর। আর লেখকের কাছে অনুরোধ এরপর তন্ত্র ছাড়া শুধু কল্পবিজ্ঞান বা থ্রিলার জাতীয় লেখার আশা রাখবো।
Mayukh Basu (verified owner) –
বাংলা সাহিত্যের সাম্প্রতিককালের উদিয়মান প্রতিবাভান লেখকদের মধ্যে অভীক সরকারের নাম কে না জানে!! ওনার লেখা উপন্যাস পেত বথু পড়ে ফেললাম। পার্টিকল ফিজিক্স, কোয়ান্তুম ফিজিক্স, স্পেস টাইম এসবের সাথে তন্ত্রের মেলবন্ধন ঘটানোর একটি দুঃসাহসিক কাজ করেছেন লেখক। বাংলা ভাষায় এরকম দুঃসাহসিক এক্সপেরিমেন্ট প্রথম বার দেখলাম। বইটি থ্রিলার হিসেবে খুব ভালো এবং পাঠক কে গুগল সার্চ করে অনেক কিছু জানার এবং শেখার প্ররোচনা দেবে নিঃসন্দেহে। প্যারালাল তিনটি সময়ের গল্প বলা হয়েছে, যা আজকাল খুব পপুলার।
কিন্তু দুটি বিষয়ে বই টিতে ���রেকটু মন দিলে ভালো হতো। বেশ কিছু টার্ম ব্যবহার করা হয়েছে, যা অনেকে প্রথম বার শুনবে বা পড়বে। সেগুলো আরো জীবন্ত করার জন্য কিছু ছবি দিলে আরো ভালো হতো। লেখক বা পাবলিশার কারুর একজনের এই বিষয়টা ভাবা দরকার। আর দ্বিতীয়ত, ফিজিক্স এর কিছু টার্ম বা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সেরকম প্রাঞ্জল ভাবে বোঝানো হয়নি। সাধারণ পাঠকের জন্য আরেকটু সহজভাবে তথ্যগুলো বোঝালে আরো ভালো হতো। মুশকিল হয়ে���ে এই ফিজিক্সে মন দিতে গিয়ে লেখকের যা ইউএসপি, তন্ত্র বিদ্যা, সেটাতে অতটা মন দেয়া হয়নি। খোঁড়া ভৈরভির মাঠ বা এবং ইনকুইজিশন পড়ে যে তন্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়, সেটা এই বইতে অনুপস্থিত।
আরেকজন ভারতীয় লেখক আশ্বিন সাংভির Keepers of Kalachakra একই বিষয়ে লেখা। সেই বইটি তে যথেষ্ট ছবি এবং সহজ এক্সপ্লানেশন দিয়ে এই জিনিস ত বোঝানো হয়েছে।
Gourab Mukherjee (verified owner) –
বেশ মন ভালো করে দেওয়া একটা বই পড়লাম। অভীক সরকারও আবারও বেশ তাক লাগিয়ে দিলেন পেতবত্থু দিয়ে। Sci-fi, তন্ত্রমন্ত্র এমনকি তার সাথে পুনর্জন্ম কে একসাথে মিশিয়ে বেশ জমাটি গল্প ফেঁদেছেন।
গল্পের কন্টেন্ট বেশ ভালো। ” দেড় হাজার বছর আগে তৈরি এক পৈশাচিক ঝামেলা বর্তমান কালে এসে মিটে যাচ্ছে happy ending দিয়ে।” সারকথা এই। তার মাঝে জড়িয়ে যায় ওই লম্বা হাজার বছরের ইতিহাস, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস ঘাতকতা, পূর্বপুরুষের ঋণশোধ ইত্যাদি।
কী ভালো লেগেছে :
✴️ একটা (আসলে অনেকগুলো) সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং একদমই অবাস্তব দৃশ্যের কিভাবে চিত্রানুগ বর্ণনা লিখতে হয় তা রীতিমত শেখার জিনিস লেখকের কাছে। একদম যেন চোখের সামনে হতে দেখছেন মনে হবে।
✴️ কিছু দৃশ্য মনে খুব জোড়ালো ধাক্কা দিয়েছে। নিজের কোন পোষ্য থেকে থাকলে সেই দৃশ্য গুলো পড়ার সময় কান্না আটকাতে পারবেন না। আরও আছে পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা, আত্মত্যাগ। After all “ভালোবাসাই সব থেকে বড় জাদু, সব থেকে বড় তন্ত্র।” ভালোবাসা শুধু কয়েকটা বইয়ের কালো কালিতে লেখা শব্দ দিয়ে ব্যক্ত করা বেশ চাপের কাজ। তবে লেখক তাতে সিদ্ধহস্ত।
অপছন্দের বিষয় সমূহ :
🔸কল্পবিজ্ঞানের পার্ট গুলো একটু কাঁচা কাঁচা, তবে ক্ষমার অযোগ্য নয়। মানে Electro-gravitational dilation চলছে সেখানে বালি ঘড়ি কাজ করছে। এটাও মানতে হবে? 🤷🤷
তবে এটা গল্প, seriously নেওয়ার জন্য নয়; তাই চাপ নিলাম না।
🔸কৃষ্ণানন্দ আগম বাগীশ বেশ under-utilized এই গল্পে। এটা একটু খারাপ লেগেছে।🤦
🔸গল্পে কোনো নারী চরিত্র নেই।🤦
ব্যক্তিগত মতামত :
🔸তন্ত্র মন্ত্রের সাথে sci-fi কে জুড়ে দিলে আমার বেশ রাগ ধরে, but then again “magic is just science that we don’t understand।”🙇
✴️ হয়ত লেখক পড়ে কোন গল্প লিখবেন যাতে কোনো advanced civilization থেকে আসা alien আমাদের পূর্বপুরুষ দের তন্ত্রমন্ত্র শিখিয়ে যাবে। Who knows!! 🧘🧘
———————————————————————————-
সব মিলিয়ে বলব বইটা খারাপ না। পড়লে আফসোস হবে না। বেশ ভালোই লাগবে। তবে লেখকের ট্র্যাক- রেকর্ড দেখে যদি একটা expectation তৈরি করে পড়া শুরু করেন তাহলে কপালে দুঃখ আছে। (Maybe খানিকটা, আমি বিশাল কিছু নিরাশ হইনি।)🤷🤷
Riju Ganguly (verified owner) –
পূজাবার্ষিকীতে প্রকাশিত হওয়ার আগেই লেখাটা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তন্ত্র ও বিজ্ঞানের এক ক্ষুরধার খেলা এই উপন্যাস। তবে এর হৃৎপিণ্ড হল এক পশুর জন্য এক মানুষের প্রেম – যা দেশ-কালের সীমা পেরিয়ে এক অদ্ভুত মায়ায় ভাসিয়ে দেয় প্রতিটি পাঠককে।
আমার পড়া অন্যতম সেরা লেখা। পিরিয়ড।
Sayani Basak (verified owner) –
Climax tay ato gulo emotion aksathe moner moddhe ese dhakka khelo je kokhon sesh hoye gelo bujhlam na, tobe ei golpo ta mone onek din dag kete thakbe❤️
Bookspirit (verified owner) –
আগমবাগীস সিরিজ এর গল্প হলেও প্রথম বইতে থাকা গল্পগুলোর সমকক্ষ লাগলো না। এমনিতে, সাই-ফাই, তন্ত্র ও ভালোবাসা- সব মিলিয়ে পড়তে মন্দ লাগল না!
Arnab Pal (verified owner) –
আমি বিশ্বজ্ঞানী সবজান্তা ছিদ্রান্বেষী আঁতেল বা ফেবু-বিপ্লবী নই। আমার এডুকেশন লেভেলও খুবই কম। তাই আমার কাছে হাজার বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার সাহায্য নেওয়া বরং যুক্তিযুক্ত আর অনেক বেশি পারফেক্ট বলে মনে হয়েছে। তাই পাঁচতারা দিলাম। আর হ্যাঁ… অবশ্যই…
“ভালোবাসাই হলো সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় যাদু।”
Aishu Rehman (verified owner) –
মনে হলো এক নিঃশ্বাসে শেষ করলাম। তন্ত্র সাধনার সাথে বিজ্ঞানের মিশেল মানে সাইন্স ফিকশন, এ সত্যি অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। লেখক দুর্দান্ত লিখেছেন বটে।
Tiyas (verified owner) –
এবং ইনকুইজিশনের চারটে গল্প ধরলে, প্রকাশকাল অনু্যায়ী প্রেতবত্থু হয় কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ সিরিজের পঞ্চম গল্প। (এর মাঝে লেখক অন্য কিছু লিখে থাকলেও আমার জানা নেই, এক্ষেত্রে আমি ভুল হতেও পারি)।
গল্প এগিয়ে চলে তিনটে ভিন্ন সময়কাল ধরে। পটভূমিকা যথাক্রমে দেড় হাজার বছর পূর্বের তিব্বত, ৫০-এর দশকের ট��লমাটাল দিল্লি, এবং বর্তমান সময়ে উত্তরবঙ্গের লাল ঝামেলা বস্তি। গল্পে আগমবাগীশ মশাইয়ের আগমন যথারীতি মাঝবরাবর। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন মনে হয় চরিত্রটি না থাকলেও গল্পে খুব একটা পরিবর্তন আসতো না। ত্রিকাল জ্ঞানী কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ তাই এই গল্পে বড়ই স্তিমিত। তবে লেখকের একাধিক টাইমলাইন নিয়ে সুনিপুণ ভাবে খেলার প্রচেষ্টা কে জানাই সাধুবাদ। অনেকই আজকাল এটা চেষ্টা করেন বটে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাবলীলতার অভাব লক্ষ্য করা যায়।
অভীক সরকারের লেখনি আমার বরাবরই ভীষন পছন্দের। এ গল্পেও সেটার কোনো পরিবর্তন নেই। শেষাংশে কেবল মাত্র বর্ণনা শক্তির দ্বারা থ্রিল জিইয়ে রাখার ক্ষমতা লেখক পুনরায় ব্যবহার করেছেন এ গল্পে। এবং এ ক্ষেত্রে ইনকুইজিশনের গল্প গুলোকেও মাঝে মধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছেন বলেই আমার মনে হয়। তবে মানতে হবে, শুরুতে হিন্দি সংলাপের অতিমারী, এক গুচ্ছ নতুন চরিত্রের ঘনঘটা পড়ে খানিকটা বিরক্তই হয়েছিলাম। লেখক সেটা শেষ পর্যায়ে এসে পুষিয়ে দিয়েছেন বলেই রক্ষে।
তবে কিনা গল্পের মূল বিষ়বস্তু হলো বইটির প্লাস পয়েন্ট এবং দুর্বলতা দুটোই। তন্ত্রের সাথে বিজ্ঞানের মেলবন্ধনের একটা সাহসী প্রচেষ্টা করেছেন লেখক। ফলাফল, উপন্যাসটি যতটাই তন্ত্রের উপাখ্যান, তারও বেশি সায়েন্স ফিকশন। এবারে বলে রাখা ভালো, বিজ্ঞানের ছাত্র বা চর্চিতা কোনটাই আমি নই। তাই কোয়ান্টাম বা পার্টিকল ফিজিক্স, ম্যাটার বা অ্যান্টি ম্যাটার, স্পেস এবং টাইম কন্টিন্যুয়াম। লেখকের চর্চিত কোনো তত্ত্বই আমি আমার এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মস্তিষ্কের জোরে ঠিক না ভুল বিচার করতে পারলাম না। ওসব আমার পক্ষে ধৃষ্টতা। তবে কিনা এটুকু বলতে পারি, যে অভীক সরকারের সাবলীল লেখনীর জোরে তন্ত্র, সাইন্স এবং সিউডো সাইন্সের এই জগাখিচুড়ী বেশ উপভোগ্য। পড়তে দারুন লাগে। তবে ‘শোধ’ বা ‘ভোগ’ পড়ে আসার পরে একটি তন্ত্র বর্ধিত ভয়াল উপন্যাসের খোজে যারা আসবেন তারা যারপরনাই হতাশ হবে। গল্পটিতে ভয় খুব একটা লাগে না বললেই চলে।
তন্ত্রের দিক থেকে প্রেতবত্থু লঘু হলেও, গল্পের হৃদয় বহাল তবিয়তে অক্ষত সেই কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের কাছেই। হালফিলের অজস্র তন্ত্র হরারের অযাচিত বিভৎসতা, নৃশংস রগরগে যৌনতার আবেশ থেকে অভীক সরকার বরাবরই কিছুটা হলেও সতন্ত্র। কারন তার গল্পের মূলে যে নির্ভেজাল নিষ্কামনার জয়। শেষ অবধি অন্ধকার ভেদী আলো রুপি ভালোবাসার উত্থান। কারন ভালোবাসাই যে হল সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় জাদু। তার লেখা গল্প পড়ে তাই কৃষ্ণানন্দের ভাষায় বলে উঠতে ইচ্ছে হয়, ভালো হোক, যারা ভালোবাসে তাদের ভালো হোক। ভালো হোক।
Mayukh Basu (verified owner) –
জমলো না, বইয়ের আকারে প্রকাশ করতে গিয়ে হয়ত ঘেঁটে গিয়েছে। কেননা যে উপন্যাসটা শারদীয়া বইচই এ পড়েছিলাম সেটার বাঁধুনি এর চাইতে একটু ভালো ছিল। সম্ভবত প্রকাশকের তাগাদায় লেখক একটু থিওরী বেশি ঢুকিয়ে দিয়েছেন। অভীক সরকারের যা লেভেল তার চাইতে পেতবত্থু বিলো এভারেজ লেখা বলেই মনে হয়েছে, পাঠক হিসেবে হয়ত সেটা আমারই ব্যর্থতা যে আমি সঠিকভাবে বুঝতে পারি নি।
দেড় হাজার বছরের একটি অভিশাপ মুক্ত করতে গিয়ে কেনই বা দলাই লামার একজন অত্যন্ত কাছের মানুষকে খুন হতে হয়? কেনই বা উত্তরবঙ্গের একটি চা বাগানের বস্তি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে লোকজন, যন্তর মন্তর নামের মস্ত বাগানবাড়িতেই বা কি হচ্ছে,সেখানে স্থানীয় কারো প্রবেশাধিকার নেই কেন? অন্যদিকে যেচে উপকার করতে আসছেন কেষ্টদা নামের এক ব্যক্তি,তাঁর আসল পরিচয়টাই বা কি? জানতে হলে পড়তে হবে।
একেবারেই ফেলে দেওয়ার মত নয়,পড়ে দেখতেই পারেন।
Supratim (verified owner) –
The story begins in ancient Tibet. A young man searching for his dear friend – his pet dog, stumbles upon a dark ritual wherein his dog has been sacrificed and turned into a terrible object of death and destruction. A monk would use his power to avert the evil. Then we moved ahead in time to when China would occupy Tibet and finally to the present age – to a location in north Bengal where people would start disappearing. I liked the character of Krishnananda Agambagish – I believe he also features in other stories.
The author has combined various themes such as ancient Hindu and Buddhist tantra, prophecies, sci-fi, espionage, conspiracy, love and friendship. And the author has managed to tell the story with 135 odd pages. The result is a very fast paced story ideal for a quick read or when the mind seeks come thrills and chills.
On the flip side, 135 pages are not sufficient for character development. Some readers might also feel that too many things are happening in the story.
Overall a satisfying read for supernatural thriller lovers.
ID (verified owner) –
নাম গুলোই যা একটু কঠিন,মনে রাখতে একটু সমস্যা সৃষ্টি হয় 😕
তাছাড়া গল্প ভালো… বেশ রোমাঞ্চকর
Snehasis Das (verified owner) –
Have you watched “stranger things” series where time space warp resulting opening a dimension in the same place.
Thousand years back, a cursed head (প্রেতবস্তু) of a loving pet thrown into a separate timeline by rituals. At present, technology tampers with time to reopen and curse is doomed all over.
RAW, IB and all security involved to prevent this research along with our favourite কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ with his own rituals of Goddess Kali ma.
Love always got great importance either bwn family or bwn a pet with its parent along with good research which made it remarkable.
Shaid Zaman (verified owner) –
বই জুড়ে ভালোবাসা লেপ্টে ছিল। না ভালোবাসা লেপ্টে থাকা মানেই যে নরনারীর প্রেম হতে হবে তা না। এ ভালোবাসা একজন যুবকের তার পোষ্য কুকুরের প্রতি, এ ভালোবাসা এক বন্ধুর তার বন্ধুর প্রতি, এক বাবার তার সন্তানের প্রতি।
হরর জনরার বই মনে করে পড়া শুরু করলেও ঠিক হরর হয়তো হয়ে ওঠেনি বইটা, শরীর হিম করা কোন ভয়ের সৃষ্টি লেখক করতে পারেননি, অথবা হয়তো করতে চান নি। বিজ্ঞান আর তন্ত্র দুটো সম্পূর্ণ দুই মেরুর দুটো জিনিসকে এক চাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন লেখক। সফল হয়েছেন কি হননি সে বিচার করার মত যথেষ্ট জ্ঞান আমার নেই। তবে সুখপাঠ্য হয়েছে, অন্তত আমাকে খুশি করতে পেরেছেন লেখক।
লেখকের পড়া এটাই প্রথম বই। এবং আমি তার আরও বই পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠেছি সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
Disha Ganguly (verified owner) –
প্রথমটা পড়তে শুরু করে বেশ ভালোই লাগছিল। গল্পের প্লট বেশ সুন্দর ছিল কিন্তু এতগুলো টাইমলাইন এর হিসেব রাখতে গিয়ে কেমন যেন সব গুলিয়ে গেলো। অধিক সন্ন্যাসী তে গাজন নষ্ট হয়ে গেলো মনে হচ্ছে যেন।
Habib Rahman (verified owner) –
পেতবত��থু বা প্রেতবস্তু আসলে কী?
– যার ভিতরে কোনো প্রেতাত্মা লুকিয়ে রাখা হয়। যার জন্য এই প্রেতবস্তু বানানো হয়,তার সর্বনাশ ঘটে, সে সবংশে নিহত হয়।
দেড় হাজার বছর আগের প্রাচীন তিব্বত। থুবতেন নামক এক যুবকের এই জগতে কেউ নেই। আছে শিনজে নামক একমাত্র সংগী দ্রোক-খি। দ্রোক-খি হলো বিরাট তিব্বতি ম্যাস্টিফ কুকুর। এক রাতে থুবতেনের সামনে উন্মোচিত হয় তিব্বতের সম্রাট মে অগছোমের বিরুদ্ধে করা এক ভয়ানক ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্র সফল করতে থুবতেনের শিনজেকে প্রেতসিদ্ধ করতে চায় ষড়যন্ত্রীরা। সর্বনাশ ঘটে যাবার আগেই থুবতেন সাহায্য চায় সর্বশ্রেষ্ঠ তান্ত্রিক পদ্মসম্ভব এর কাছে। কিন্তু ততক্ষণে যে পেতবত্থু জাগ্রত হয়ে গেছে!!!
১৯৫৯। চায়না দখলে নিয়েছে পবিত্রভূমি তিব্বত। দলাই লামা এবং তার বিশ্বস্ত সহযোগীরা পালিয়ে চলে এসেছেন ভারতে। তাদেরই একজন লোবসাং। তিব্বত থেকে পালিয়ে আসার সময় সামান্য যা কিছু নিয়ে সবাই পালিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অমূল্য পঞ্চজ্ঞানমঞ্জুশ্রী। পঞ্চজ্ঞানমঞ্জুশ্রী হচ্ছে কদম্পা ধর্মমতের এমন পাঁচটি পবিত্রতম পুঁথি যা একমাত্র স্বয়ং দলাই লামা বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তি ছাড়া আর কারও দেখার অধিকার নেই। তার থেকে একটি মঞ্জুশ্রী উধাও হয়ে যাওয়াতে ডাক পড়ে দলাই লামার আজ্ঞাধীন গোপনতম যোদ্ধাবাহিনী মহাকালচক্রের। অন্ধকারের গহীনতম শক্তি এই মহাকালচক্র। এরা পারে না হেন কোনো কাজ নেই। গুপ্তহত্যায় এদের সিদ্ধি প্রবাদপ্রতিম, আর মহাকালচক্রের হাতে মৃত্যু বড় ভয়ঙ্কর, বড় নৃশংস। মহাকালচক্রের হাত থেকে বাঁচতে লোবসাং আশ্রয় নেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আই বি এর কাছে। কিন্তু সর্ষের মধ্যেই যদি ভূত লুকিয়ে থাকে তখন?
বর্তমান সময়। ডায়না নদীর তীরে অবস্থিত টেংমারি টি গার্ডেন আর লাল ঝামেলা বস্তি। এরই পাশে অতি গোপনীয় এক প্রজেক্ট চালু হবার পরপরই একের পর এক লোক গায়েব হয়ে যাচ্ছে। তাদের হদিস আর পাওয়া যাচ্ছে না। আসল ঘটনা কি জানতে মামার অনুরোধে টি গার্ডেনে আসে দুই বন্ধু দেবু আর সুজন। শুরুতে মামুলি ঘটনা ভাবলেও শীগ্রই সবকিছু মোড় নেয় ভয়ানক এক দুঃস্বপ্নে।
অভীক সরকারের পেতবত্থু বইটিকে প���ঁচমিশালী বই বলা যায়। তিন-চারটে টাইমলাইন, তন্ত্র-মন্ত্রের সাথে সাইন্সের মিশ্রণ আর ফাস্ট পেসড বইয়ে লেখনীর গুণে দুর্দান্ত দ��শ্যায়ন; এসব কিছুই আবার ১৩৫ পৃষ্ঠার মধ্যে এটে যাওয়া। বইটিকে শুরতে মনে হচ্ছিল অতিপ্রাকৃত হরর কোনো বই হবে। তন্ত্র-মন্ত্রের বিশদ বর্ণনা সেই ইংগিতই দিচ্ছিল। কিন্তু পরে আবার তাকে সায়েন্স দিয়ে জাস্টিফাই করতে গিয়ে মনে হবে যেন এটি কোনো সাই-ফাই। কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর এই দুইয়ের মিশেলে চমৎকৃত হচ্ছিলাম। কিছু ক্ষেত্রে আবার ভীষণ বিরক্তিকর এবং হাস্যকর লাগছিল। ছোট সাইজের বইয়ে এসবকিছু ঠেসে ভরতে গিয়ে ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট কিছুই ছিল না। এমনকি যেই পেতবত্থুর নামে বইয়ের নাম তার দেখাই পাওয়া যায়নি।
তবে বইটি তারপরেও পড়তে বেশি একটা খারাপ লাগেনি তার কারণ হচ্ছে লেখনীর গুণে। সবকিছু যেন চোখের সামনে ভাসছিল। অভীক সরকারের প্রশংসা করতে হবে এক্ষেত্রে। ছোট কলেবরের এবং ফাস্ট পেসড হওয়াতে বিরক্তিকর বোধ হয় না তেমন। ওয়ান টাইম রিড হিসেবে ঠিক আছে।
পেতবত্থু
অভীক সরকার
পত্রভারতী